Description
পরিবারের সবাইকে ছেড়ে অস্ট্রেলিয়া চলে আসার, একমাস ১৭দিন তেরঘন্টা হয়ে গেলো এইতো কিছুক্ষণ আগে। ল্যাব-বাসা-বাসা-ইউনিভার্সিটি, কেমন বাঁধাধরা, বিরক্তিধরানো রুটিন… জায়গাটায় মানুষজন কত কম ! আর সব আজব করা দাম। সফট ড্রিংক্স এক ডলার, দুধ দুই ডলার আর পানি বলে তিন ডলার -_-
.
আব্বু আম্মুর সাথে কথা হয় নিয়মিত,ছোটভাই আর মামার সাথে যোগাযোগ ইমো-তে । মেঝোটা আগে থেকেই কেমন জানি,প্রায় পিঠাপিঠি হলেও বড় হওয়ার পর কথাবার্তা হতোনা অতটা, এখন তো আরো কম.. রাতে ঘুমানোর সময় বাসার কথা মনে পড়ে খুব। সকালে নাস্তা বানানোর সময়েও। দুপুরে অল্প কিছু দিয়ে পেটকে শান্ত করার টাইমেও। বিকালে একটু বাইরে বের হয়ে জিরো-ডিগ্রি টেম্পারেচারে হু হু করার সময়েও!
.
২৬ আগস্ট আজ। অস্ট্রেলিয়ান মিলিটারি প্যারেড দিবস আজকে। বিশাল একটা মাঠে হেলিকপ্টার আরো কি কি যেন নিয়ে খুব খেল দেখাচ্ছে লোকগুলা! সেদিক থেকে নজর ফেরালো কয়টা লালচে-সাদা বাচ্চাকাচ্চার চ্যাঁচামেচি। এক জায়গায় জড়ো হয়ে কি যেন খাচ্ছে… এহ, আমগো হাওয়াই-মিঠাই ওরা পাইলো ক্যামনে! এইটা তো সেই ছোটবেলায় যখন গ্রামে যেতাম তখন চারচাকার ছোট গাড়িতে চোক্ষের সামনে বানায়ে দিত চিনির সিরা অনেক জোরে ঘুরায়ে,কাঠিতে প্যাঁচানো সেই বায়বীয় মিঠাইএ কামড় দিলে দাঁতের দাগ বসে যেত অই অংশটায় ভেজাভাবে। আর যত বড় কামড় দেইনা কেন, মুখে নিলেই হাওয়া!
.
ইদানিং অবশ্য ঢাকাতেই পাওয়া যেত।এইতো গত ঈদেই নামাজের পর ছোটভাইকে নিয়ে যখন বের হলাম…. আআহ,আর ৫টা দিন পরে কুরবানির ঈদ! আম্মু একলা কিভাবে সামলাবে সবকিছু? প্রতিবার ঈদের দিন থেকে মাংস জ্বাল দেওয়া শুরু হয় পাতিলা ভরে, না জানি এবার সেটা কেমন হয়… এইরে, চোখে পানি! তাড়াতাড়ি মুছে ফেলি। কাওকে দেখানো যাবেনা। বড় হয়ে গেলে কান্নাকাটি করা যায়না।অশ্রু হচ্ছে দুর্বলতা। আরো ৫টা বছর থাকতে হবে। এখন ই দুর্বল হলে চলে?
Leave feedback about this