সুইট অউদ

(2 customer reviews)

৳ 1,300.00

প্রচুর ঘন আর মিষ্টি পারফিউমটায় আমি শুরুতে খুঁজে পেয়েছি দুইটা জিনিস, খোসা ছাড়ানো টসটসে লিচু, আর সদ্য বানানো হাওয়াই-মিঠাই। প্রায় ১০ঘণ্টা ছিলো এর ঘ্রাণ, চারিপাশে 🙂

এমন ঘ্রাণ আরেকজায়গায় পেয়েছিলাম। এক বিশেষ ধরণের অউদ-কাঠের গায়ে। একটু পর সেই কাঠ পোড়ানো হয়েছিল বার্নারে। অদ্ভুত মিষ্টি সেই সুবাসে কাবু হয়েছিলাম নগদে

Description

পরিবারের সবাইকে ছেড়ে অস্ট্রেলিয়া চলে আসার, একমাস ১৭দিন তেরঘন্টা হয়ে গেলো এইতো কিছুক্ষণ আগে। ল্যাব-বাসা-বাসা-ইউনিভার্সিটি, কেমন বাঁধাধরা, বিরক্তিধরানো রুটিন… জায়গাটায় মানুষজন কত কম ! আর সব আজব করা দাম। সফট ড্রিংক্স এক ডলার, দুধ দুই ডলার আর পানি বলে তিন ডলার -_-
.
আব্বু আম্মুর সাথে কথা হয় নিয়মিত,ছোটভাই আর মামার সাথে যোগাযোগ ইমো-তে । মেঝোটা আগে থেকেই কেমন জানি,প্রায় পিঠাপিঠি হলেও বড় হওয়ার পর কথাবার্তা হতোনা অতটা, এখন তো আরো কম.. রাতে ঘুমানোর সময় বাসার কথা মনে পড়ে খুব। সকালে নাস্তা বানানোর সময়েও। দুপুরে অল্প কিছু দিয়ে পেটকে শান্ত করার টাইমেও। বিকালে একটু বাইরে বের হয়ে জিরো-ডিগ্রি টেম্পারেচারে হু হু করার সময়েও!
.
২৬ আগস্ট আজ। অস্ট্রেলিয়ান মিলিটারি প্যারেড দিবস আজকে। বিশাল একটা মাঠে হেলিকপ্টার আরো কি কি যেন নিয়ে খুব খেল দেখাচ্ছে লোকগুলা! সেদিক থেকে নজর ফেরালো কয়টা লালচে-সাদা বাচ্চাকাচ্চার চ্যাঁচামেচি। এক জায়গায় জড়ো হয়ে কি যেন খাচ্ছে… এহ, আমগো হাওয়াই-মিঠাই ওরা পাইলো ক্যামনে! এইটা তো সেই ছোটবেলায় যখন গ্রামে যেতাম তখন চারচাকার ছোট গাড়িতে চোক্ষের সামনে বানায়ে দিত চিনির সিরা অনেক জোরে ঘুরায়ে,কাঠিতে প্যাঁচানো সেই বায়বীয় মিঠাইএ কামড় দিলে দাঁতের দাগ বসে যেত অই অংশটায় ভেজাভাবে। আর যত বড় কামড় দেইনা কেন, মুখে নিলেই হাওয়া!
.
ইদানিং অবশ্য ঢাকাতেই পাওয়া যেত।এইতো গত ঈদেই নামাজের পর ছোটভাইকে নিয়ে যখন বের হলাম…. আআহ,আর ৫টা দিন পরে কুরবানির ঈদ! আম্মু একলা কিভাবে সামলাবে সবকিছু? প্রতিবার ঈদের দিন থেকে মাংস জ্বাল দেওয়া শুরু হয় পাতিলা ভরে, না জানি এবার সেটা কেমন হয়… এইরে, চোখে পানি! তাড়াতাড়ি মুছে ফেলি। কাওকে দেখানো যাবেনা। বড় হয়ে গেলে কান্নাকাটি করা যায়না।অশ্রু হচ্ছে দুর্বলতা। আরো ৫টা বছর থাকতে হবে। এখন ই দুর্বল হলে চলে?

Additional information

পরিমাপ

ষোলো গ্রাম ( 16 gm ), সাড়ে চার মিলি ( 4.5 mL )

2 reviews for সুইট অউদ

5 Star

100 %
2 review(s)

4 Star

0 %
0 review(s)

3 Star

0 %
0 review(s)

2 Star

0 %
0 review(s)

1 Star

0 %
0 review(s)

Reviewed by 02 customer(s)

  • Avatar

    Mahmud Farooque

    একদম একটা খাই খাই ঘ্রাণ। মাসজিদে গেলে আশে পাশের মানুষের খিদা লেগে যেতে পারে। আল্লাহর ওয়াস্তে রামাদোন মাসে দিনের বেলায় এটা দিয়ে কেউ মাসজিদে যাবেন না আর মোটা মানুষরা এটা সাবধানে ব্যাবহার করবেন কারন ঘ্রাণ টা কিসের সেটা আইডেন্টিফাই করতে গিয়ে লজেন্স / মিষ্টি ইত্যাদি খেয়ে চেখে দেখতে গিয়ে ওজন বেড়ে যেতে পারে।

    January 27, 2019
  • Avatar

    Anas

    Valo

    January 22, 2019

Leave feedback about this

Your email address will not be published.