Description
” ভাই এটা আতর না পানি? ” জিজ্ঞাসা করতে চেয়েও কি ভেবে যেনো কিছু বলা হলো নাহ। আরেহ, কি জাতের ঘ্রাণ এটা, এত্তগুলা লাগালাম কাপড়ে তবু কিচ্ছু টের পাচ্ছি না! আতরচির নাকের মেয়াদ কি তবে এইটুকুই ছিলো!?!
সাপ্লাইয়ার আংকেল দেখি মুচকি মুচকি হাসে ! ইউকে’র চালানে আনা প্রথম পণ্যটাই এভাবে ধোঁকা দিচ্ছে আমায়? নো, নেভার, নট ! হন্য হয়ে তাই আবারো একটু নিয়ে লাগালাম পাঞ্জাবির হাতায়… তালুতে মেখে কাপড়ে বুলালাম… উঁহু , ঘ্রাণ তো পাই না!
আশেপাশে কোথাও নাকের ডাক্তার আছে কি না, সেই খোঁজ করতে যাবো ; ঠিক সেই সময়ে ধিরিম করে ‘কি যেনো’ মাথাটাকে জাস্ট ব্ল্যাংক করে ফেললো, সম্ভিত ফিরে আসলে বুঝলাম, জিনিসটা একখানা সুঘ্রাণ বৈ কিছুই না! নিজের ভেতরে চলা চাঞ্চল্যতাকে আর আটকে রাখতে পারলাম না… ” আরেহ আরেহ, গত ৬মাস ধরে মরক্কো’র যেই আতরের ঘ্রাণ-টা খুঁজে বেরিয়েছি দুয়ারে দুয়ারে, সেটা আজ এভাবে মিলে গেলো! “– কথাগুলো কি একটু জোরেই বলে ফেলেছিলাম?
খান মোহাম্মদ আত্তার ভাই উপহার দিয়েছিলেন আমায়। হায়, এই এতটুকু করে ব্যবহার করতাম একে, পাছে ফুরিয়ে যায়? আশংকা-টাই সত্যি হয়েছিল! … অনেক বকবক হলো, এবার ঘ্রাণের উৎস খুঁজবার পালা । আশপাশ পুরো মাতোয়ারা হয়ে আছে, কিন্তু এর শুরু কোথায়, ধরাই যাচ্ছে না… কিভাবে যেনো পাঞ্জাবির হাতাটা নাকের কাছাকাছি চলে এলো এবং বাজিমাৎ ! ভাবা যায়, শুরুর সেই ‘ঘ্রাণহীন’ তরল এভাবে চমক দেখাবে? …..বলছিলাম ম্যাজিক ঘ্রাণ ” ভার্সাচে ” এর কথা ।
Leave feedback about this