Skip to main content

আসসালামু আলাইকুম। খন্দকার হাসিফ আহমেদ রাহাত বলছি, পারফিউমেন্সের "ফাউন্ডার এন্ড সিইও" পদে আসীন আছি সেই প্রথমদিন থেকেঃ ৩রা ডিসেম্বর ২০১৪ সাল ছিল যেই দিন-টা ! পরবর্তীতে ২০১৫ সালে ঢাকা খিলগাঁও এবং ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম খুলশি-তে আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে শোরুম দিয়েছি। পারফিউমেন্সের ট্রেড লাইসেন্স নাম্বারটা জানিয়ে রাখি, যেকোনো সময় আমাদের ব্যাপারে যাচাই করে নিতে পারবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকেঃ TRAD/DSCC/357765/2019 

ওহ , আরো কিছু ব্র্যান্ডের সাথে আমরা যুক্ত আছি। ২০১৫ সালে শুরু করেছিলাম 'পারফিউমেন্স অর্গানিক বিয়ার্ড অয়েল' , বাংলাদেশের ১ম বিয়ার্ড-গ্রুমিং ম্যানুফেকচারার প্রতিষ্ঠান, যেটা ২০২১ সালে রিব্র্যান্ডিং করি 'বিয়ার্ডব্রোস ল্যাব' নামে। এছাড়া ২০১৮ সালে শুরু করেছিলাম 'আফদাল', যাকে বাংলাদেশে 'শুধুমাত্র ন্যাচারাল আত্তার নিয়ে ফোকাসড প্রথম বাংলাদেশি ব্র্যান্ড' বলে থাকেন অনেকেই। ২০২৪ সালে সর্বশেষ যেই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ শুরু করি, তার নাম 'অউদ দুখান' , প্রাচ্যের জনপ্রিয় বাখুর আর পাশ্চাত্যের হাইপ ওঠা সেন্টেড ক্যান্ডেল আমরা তৈরি করছি বাংলাদেশের বুকেই! 

 

চলুন, একটু গল্প শুনে আসি পারফিউমেন্সের। নিতান্ত একটা ব্যবসায় থেকে পারফিউমেন্সের পুরোদস্তুর এক অন্ট্রাপ্রুনারশিপে পরিণত হবার গল্পঃ  

 

দেশ কিন্তু আগাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির প্রয়োজন মিটবার পর মানুষ এখন হাত বাড়াচ্ছে জীবনকে কিভাবে আরেকটু উপভোগ্য করা যায়, সেই দিকটায়। পারফিউম কিংবা সুঘ্রাণ, সেরকমই একটা লাক্সারি আইটেম। যদিও বৈশ্বিক উষ্ণতাবৃদ্ধির আঁচ দেশের আবহাওয়ায় পড়ায় তা 'প্রতিদিনের দরকারী পণ্যে' রূপ নিচ্ছে ধীরে ধীরে!

 

আপনারাও হয়তো খেয়াল করেছেন আমার মত করে: কয়টা বছর আগেও অফিসপাড়ায়, গণপরিবহন আর লেখাপড়ার জায়গাগুলোতে একটু ঠাসাঠাসি হলেই ঘামের ভ্যাপসা গন্ধে টেকা কষ্টকর হয়ে যেত। এ কথা মানতেই হবে, একজনের থেকে আসা বাজে গন্ধ অন্যের কাজে আর মনে ব্যাঘাত ঘটায় অবশ্যই!

 

আচ্ছা, এমন কোনো কারণ কি আছে, সেটার জন্য বাঙালি সুবাস ব্যবহারের প্রতি খুব উদাসিন? লোকটা পোশাক আশাকে খুব গোছগাছ কিন্তু নির্বিকার ভঙ্গিতে বাজেগন্ধ বিলাচ্ছে চারদিকে -- সমস্যাটা কি?

 

ঠিক এই সমস্যা নিয়ে কাজ করেছে পারফিউমেন্স। আমাদের গবেষণায় মোট তিনটা গুরুতর সমস্যা খুজে পেয়েছিলাম:

 

(১) যেসকল বডিস্প্রে কিংবা পারফিউম দেশে আসতো, তাদের বেশিরভাগই ইউরোপ আমেরিকার জনমানুষের মেজাজ আর সেখানের আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওয়ানো। তা ত আমাদের সাথে মিলার কথা না! একটা উদাহরণ দিলে আপনারাও টের পাবেন তফাতের মাত্রাটা: বাইরের দেশে অফিসে যাওয়ার সময় মশলাদার কড়া ঝাজালো ঘ্রাণ কাপড়ে ছিটিয়ে আসেন কর্পোরেট লোকেরা, কয়েকঘন্টা স্থায়ি হলেই হলো। কিন্তু আমরা যখন বাজার যাচাই করলাম, দেখি কি, এখানকার চাকুরেজীবি ভাইয়েরা 'মিষ্টি ঘ্রাণ যেটা খুব হালকা হবে কিন্তু সারাদিন থাকবে' এমন কিছু খুজতেছেন। যা চাচ্ছি, সেটা যখন পেলাম না হাতের কাছে থাকা পারফিউমগুলোতে, তখন একবুক অভিমান নিয়ে টিনএজারদের মত করে "কেউউউ আমায় বুঝলো না" আউড়ে সুবাস ব্যবহার থেকে দূরে থাকতাম এই আমরাই।

 

(২) দাম। আজো যদি আপনি সুপারশপগুলোতে যান, একটা ব্র‍্যান্ডের পারফিউম তিন-সাড়ে তিনহাজার টাকা নিবে কমপক্ষে, একটা ভালো বডিস্প্রে'র দামও তিনশ টাকার নিচে না। "তিনশ টাকা! আরে, তিনশ টাকা দিয়ে তো একমাস খবরের কাগজ রাখা যায়, থাক বাবা আমাদের পারফিউম বিলাসিতার দরকার নাই" -- পত্রিকা পড়লে নিজেকে আলোকিত রাখা যাবে এটা বুঝি, কিন্তু সুবাস মাখলে যে চারপাশ আলোকিত হবে এটা বুঝে কয়জনে?

 

(৩) মুসলিম-প্রধান জনগণের মধ্যে এই চিন্তা গেঁথে  আছে যে, বাজারে যতরকমের পারফিউম ফুসস আওয়াজ করে, তাদের সবগুলার মধ্যেই এলকোহল আছে, আর এগুলো ব্যবহার করলে হয়তো নামাজ কবুল হবেনা।

 

বাঙালির স্মৃতিকাতর মনোভাবের থেকে দৃষ্টি রেখে পারফিউমেন্স এই তিন সমস্যার একটিমাত্র সমাধান নিয়ে আসলো। আমরা কিছু ল্যাবে কিছু বাইরের দেশ থেকে ইথানল-মুক্ত পারফিউম নিয়ে আসলাম, যারা প্রথমত আমাদের দেশের মেজাজ এবং আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওয়ানো ; দ্বিতীয়তঃ দামে সাশ্রয়ী এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটা আমরা নিলাম: এই ঘ্রাণগুলো আমরা ছাড়লাম রোল অন বোতলে অর্থাৎ আপনি আতরের মতন করে হাতের তালুতে প্রথমে নিবেন এর পরে কাপড়ে বুলিয়ে নিবেন।

 

আমাদের যাদের বয়স 40 প্লাস তারা তাদের ছোটবেলায় বাবাকে আর যাদের বয়স 25 প্লাস তারা তাদের ছোটবেলায় দাদা-নানাকে দেখেছেন তুলোতে একটু আতর নিয়ে সেটা কানে গুঁজে এরপরে নামাজ পড়তে যেতে। আমাদের অবচেতন মন আমাদেরকে বলে দিয়েছে যদি এমন কোন ঘ্রাণ থাকে যা মাখলে কাপড় নাপাক হবেনা -- সেটা হলো আতর! তাই পারফিমেন্সের আধুনিক ঘ্রাণগুলো যখন আতরের বোতলে দেখলেন, সবাই নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে লাগলেন সেগুলো।

 

আমরা যেহেতু ইকমার্স হিসেবে ব্যবসা শুরু করেছিলাম, শুরুতেই বড় চ্যালেঞ্জএর মুখোমুখি হতে হয়েছে:  মোবাইল আর ল্যাপটপের স্ক্রিন দিয়ে অনেক কিছু করা যায়, কিন্তু ঘ্রাণ নেওয়া যায় না।পারফিউম্যান্স তাই তার সবগুলো ঘ্রাণকে ব্যাখ্যা করেছিল আমাদের আশেপাশের পরিচিত জিনিসের সাথে মিলিয়ে, আর নিজেদের গবেষণার ব্যাপারে জানাতে এবং সেলস ফানেল এর প্রথম ধাপঃ এওয়ারনেস তৈরি করতে বেছে নিলো কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের একটা ছোট্ট অংশ, স্টোরি টেলিং। আলহামদুলিল্লাহ, এই ব্যাপারেও সফল !

 

শেষ করবো ছোট্ট একটা এচিভমেন্ট বলবার মাধ্যমে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে যেই ৪১টি উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা ব্যক্ত করেছে ডি.ইউ.আই.সি.ই. সেন্টার, পারফিউমেন্স সেই উদ্যোগগুলোর মধ্যে একটি । আলহামদুলিল্লাহ! 

স্বল্প মূল্যে ডেলিভারি

অল্প খরচে এবং স্বল্প সময়ে আপনার প্রিয় পারফিউম পৌঁছে যাবে

ক্যাশ অন ডেলিভারি

ঢাকা আর চট্টগ্রাম তো বটেই - সারাদেশেই আমরা দিচ্ছি ক্যাশ অন ডেলিভারি

দ্রুত সাপোর্ট

পণ্যে কোন সমস্যা হলে দ্রুততম সময়ের ভেতর সাপোর্ট পাবেন

Chat on WhatsApp