শামামাতুল আফদাল

ঠান্ডাশীতল পরিবেশে এমন ঠান্ডা অথচ মশলাদার শামামা যদি কাছে না থাকে, তাহলে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়: দুর্লভ এক এক্সপেরিয়েন্স থেকে বঞ্চিত করছেন নিজেকে!

কোন কিছুর সাথে নিজের নামকে তখনই জুড়ে দেয়া হয়, যখন সেটাকে একদম সেরা আর একান্তই নিজের বলে মনে করে সে। আমার নামের অংশ, মানে সে ত আমারই অংশ!… শামামাতুল আফদাল ঠিক সেরকমই, আমাদের প্রাণের অংশ। এরচে ভালো শামামা আমরা খুজে পাইনি কোথাও, এরচে মশলাদার শামামা মনে হয়না আজোব্দি ঘ্রাণ নিয়েছে কেউ। তাইতো খুব খুব লিমিটেড এই আত্তারটার নাম রেখেছি আমাদের সাথে মিলিয়ে, আফদালের সিগ্নেচার সুবাস হিসেবে তুলে ধরেছি এই ইনাকেই!

শামামা কী? হরেক রকম মশলা আর রজনসমৃদ্ধ ভেষজ উপাদান একসাথে জ্বাল দিয়ে তৈরি ভারিক্কি ভাবের প্রাকৃতিক আত্তার হচ্ছে শামামা, যার রংয়ের রকমফের দেখা যায় হালকা লাল থেকে ডিপ ব্রাউন পর্যন্ত। স্নিফ করলে বেশি টের পাওয়া যায় মশলা। মাটি – হার্বাল ঘ্রাণও পাওয়া যায় ঘুরেফিরে, মাঝেমাঝে হালকা মিস্টি স্মেলও নাকে এসে জানান দেয় নিজের উপস্থিতি।

সুগন্ধিলাইনের মুরুব্বী তথা অভিজ্ঞ ডিস্টিলারদের গৌরবের জায়গা হচ্ছে শামামা, প্রায় প্রতিজন আত্তার-মেকারেরই একটা নিজস্ব শামামা আছে, যেটাতে উপাদানগুলো দেয়া হয়েছে একান্তই তার নিজের ফর্মুলা অনুসারে৷ শামামা হচ্ছে নিজের মধ্যে এক শিল্প, একেক শিল্পী একেকভাবে তুলির আঁচড় দিয়ে এঁকেছেন তার মাস্টারপিস Shamama কে।

‘শামামাতুল আফদাল’ নামে আপনাদের হাতে তুলে দিতে চাই এমনই এক ইউনিক, মাস্টারপিস শামামা-কে। আফদাল সরাসরি গিয়েছিলো এই খুব-মশলাদার আত্তারটার মূল কারিগরের কাছে, অনুমতি পেয়েছিলো তার ডিস্টিল করা সবচে সেরা শামামা’র যতটুকু আছে পুরোটা কব্জা করবার। এমন জিনিস, আর কখনো তৈরি হবেনা, চিন্তা করলেই মন খারাপ হয়ে যায় 🙁