‘সিসাল ব্রিসল’ বিয়ার্ড ব্রাশ

বিয়ার্ড ব্রাশ আপনার দাড়িকে কন্ডিশনড রাখতে আলাদীনের চেরাগের দৈত্যের মত সাহায্য করে। নিয়মিত বিয়ার্ড ব্রাশের ব্যবহার মানে আপনার দাড়ি থাকবে খুশকিমুক্ত। এছাড়াও আপনার দাড়ির নিচের মৃতকোষ দূর করতে এর চেয়ে ভালো টুলস খুব কমই আছে।

বিয়ার্ড ব্রাশ ব্যবহারের সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে – এটি আপনার ত্বকের ন্যাচারাল তেলকে দাড়ির চারদিকে জলসেচের মত করে ছড়িয়ে দেয়। যার কারণে দাড়ি হয় হৃদপুষ্ট, শক্ত মজবুত। ফলে হাতের টানাটানিতে দাড়ি সহজে উঠে আসবেনা, আর দাড়ির ইচিং সমস্যা গায়েব হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। পরিচ্ছন্নতা যেমন ঈমানের অর্ধেক, সেই পরিষ্কারের কাজে বিয়ার্ড ব্রাশের জুড়ি মেলা ভার। বাইরের ধুলোবালি ও খাবারের বিভিন্ন আটকে যাওয়া অংশ দাড়ি থেকে ক্লিন করতে বিয়ার্ড ব্রাশ বদ্ধপরিকর 😁

অনেকের কুঁকড়ে থাকা দাড়িতে গিটের অভাব নেই। ফলে দাড়ি আচড়াতে গেলে প্রচন্ড ব্যথা হয় এবং আঁচড়ানো বন্ধ রাখতে হয় অনেক সময়, দাড়ি একদম গোঁড়া থেকে উঠে আসে। এই সমস্যা দূরীকরণে বিয়ার্ড ব্রাশের বিকল্প কার্যকরী টুলস মার্কেটে বিরল।

★ বিয়ার্ড ব্রাশ কাদের জন্যঃ

যাদের দাড়ি গালকামড়ানো, যাদের দাড়ি এখনো ছোট — তাদের জন্য বিয়ার্ডব্রাশ খুবই উপযোগী। যাদের দাড়ি বিশালবড়, তাদের ‘গালঘেরা’ অংশ বিয়ার্ড ব্রাশ, আর ঝুলন্ত দাড়িগুলোর জন্য বিয়ার্ড কম্ব ব্যবহার করতে বলি আমরা।

★ কিভাবে বিয়ার্ড ব্রাশ ব্যবহার করবো?

দাড়ির যত্নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নিয়মানুবর্তীতা। প্রতিদিন অন্তত দুবার আপনার দাড়ি ব্রাশ করা প্রয়োজন। দিনে যতবার আপনার দাড়ি মুখ ইত্যাদি ওয়াশ করবেন, ততবার বিয়ার্ড ব্রাশ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে দাড়ির জন্য বেস্ট আউটকাম পাবেন।

আপনার দাড়ির গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত দাড়ির জন্য উপকারী Sebum পৌছে দেয়ার কাজটি করবে বিয়ার্ড ব্রাশ। বিয়ার্ড ব্রাশ ব্যবহারের নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। আপনার প্রয়োজন মনে হলে আপনি আপনার দাড়ি ব্রাশ করে পুরো সকাল কাটাতে পারেন!